ইসরায়েল যদি অধিকৃত পশ্চিম তীরকে সম্পূর্ণভাবে নিজের ভূখণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করে, তবে সেটি হবে ‘চূড়ান্ত সীমা লঙ্ঘন’—এভাবে সতর্ক করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। আব্রাহাম চুক্তির মূল লক্ষ্য ও চেতনা এ পদক্ষেপের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মনে করছে দেশটি। ২০২০ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির মাধ্যমে ইউএই ও ইসরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।
ইউএই’র জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক লানা নুসেইবেহ বলেন, এমন সিদ্ধান্ত ইসরায়েল–ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি ধ্বংস করবে।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) ইউএই’র এই অবস্থানকে স্বাগত জানালেও ইসরায়েলি সরকার এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
নুসেইবেহ তাঁর মন্তব্যে ইঙ্গিত দেন, এমন সময়ে এই বিতর্ক উঠেছে যখন ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরের প্রায় ৮০ শতাংশ ভূমি ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ১৬০টি বসতি স্থাপন করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ হিসেবে বিবেচিত। বর্তমানে ওই অঞ্চলে প্রায় ৭ লাখ ইহুদি ও ৩৩ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করছেন।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইউএই, বাহরাইন ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। শর্ত অনুযায়ী, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পশ্চিম তীর সংযুক্তকরণ পরিকল্পনা থেকে সরে আসবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে তিনি এটিকে স্থায়ীভাবে বাতিল নয়, বরং সাময়িক স্থগিত বলেই উল্লেখ করেছিলেন।
নুসেইবেহ আরও বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা আব্রাহাম চুক্তিকে ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জোরদার করা এবং তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ন্যায্য আকাঙ্ক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার কূটনৈতিক সুযোগ হিসেবে দেখেছি। কিন্তু পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার পদক্ষেপ ইউএইর কাছে একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’
পতাকানিউজ/ওয়াইএস

