যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনার কর ফাঁকির দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন। তার বিদায়ের পর প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার মন্ত্রিসভায় বড় রদবদল এনেছেন।
রেইনারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন ডেভিড ল্যামি, যিনি একসঙ্গে উপপ্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। ল্যামির আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব ছিল, যা এখন পাচ্ছেন ইয়েভেত্তে কুপার। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে সাবানা মাহমুদকে।
৪৫ বছর বয়সী অ্যাঞ্জেলা রেইনার ছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আবাসনমন্ত্রী ও লেবার পার্টির উপনেতা। ইস্ট সাসেক্সে নতুন বাড়ি কেনার সময় যথাযথ হারে সম্পত্তি কর না দেওয়ায় তিনি নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া পদত্যাগপত্রে নিজের ভুল স্বীকার করে তিনি পদ ছাড়েন।
মন্ত্রিসভার আচরণবিধি বিষয়ক স্বাধীন উপদেষ্টা জানান, কর ফাঁকির কারণে রেইনার নৈতিক মানদণ্ড ভঙ্গ করেছেন। শুরুতে প্রধানমন্ত্রী স্টারমার তাকে সমর্থন করলেও শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেননি।
পদত্যাগপত্রে রেইনার লিখেন, ‘বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নেওয়ায় আমি অনুতপ্ত, এই ভুলের দায় সম্পূর্ণ আমার।’ তার বিদায়ে আবেগঘন বার্তায় স্টারমার বলেন, ‘সরকার থেকে আপনাকে হারাতে হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে আপনি আমাদের দলে গুরুত্বপূর্ণ থাকবেন।’
রেইনারের পদত্যাগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্টারমার মন্ত্রিসভায় রদবদল ঘোষণা করেন। আবাসনমন্ত্রীর পদে স্টিভ রেইডকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্কটল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী এবং হাউস অব কমন্সের নেতার পদেও পরিবর্তন এসেছে।
রেইনারের পদত্যাগে খুশি হয়েছে নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন রিফর্ম ইউকে পার্টি। তবে লেবারের ভেতরে অনেকেই মনে করছেন, কর্মজীবী শ্রেণি থেকে উঠে আসা এবং দলের বামপন্থি–কেন্দ্রপন্থি শাখার সেতুবন্ধ রেইনার নীরব থাকলেও ভবিষ্যতে নেতৃত্বে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন।
কর ফাঁকির অভিযোগ মেনে নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, অতিরিক্ত কর পরিশোধের পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
পতাকানিউজ/ওয়াইএস

