ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়া নিয়ে এনসিপির এক নেতা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে হাসিনার মত ‘সুর’ শোনা গেছে বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার, ১৩ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘রাজধানীতে জাতীয় যুব সম্মেলনে এনসিপির এক নেতা নির্বিঘ্নে বলে গেলেন যে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। তো ভাই কখন নির্বাচন হবে ? আপনার কথার যে সুর! আপনি অনেক যুক্তি খাড়া করে একটা বিশ্লেষণী বক্তৃতা করতে পারতেন। কিন্তু মঙ্গলবার বক্তৃতার মধ্যে দেখলাম, হাসিনা যে সুরে কথা বলত সেই সুরই আপনার কণ্ঠ থেকে বেরিয়েছে। আরেকটি কর্তৃত্ববাদী শাসনের সুর। কর্তৃত্ববাদী শাসকের যে মনোভাব কালকে আমরা তার বক্তব্য থেকে সেটিই পেলাম। ছেলেমানুষ কদিন আগেও ছাত্র ছিল। এদের এরকম আচরণ হওয়া উচিত না।’
তিনি বলেন, তাহলে আমাদের ১৬ বছরের যে আন্দোলন, এত রক্তপাত- আমাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেল ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সাইফুল ইসলাম হীরু, হুমায়ন কবির পারভেজ, ছাত্রনেতা জনি, জাকের, একেক করে অসংখ্য। ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, রাজশাহী, খুলনায় কত যে ছাত্রদল-যুবদলের ছেলেরা, কত যে বিএনপির নেতা। তারা গুম হয়ে গেলেন, তারা অদৃশ্য হয়ে গেলেন। কারো লাশ পাওয়া গেল শীতলক্ষ্যার ধারে, কর্ণফুলীর ধারে, মেঘনা নদীর পাড়ে। তাহলে এদের কোন অবদান নেই? বক্তব্য থাকবে, আলাপ আলোচনা থাকবে, বিতর্ক থাকবে। বিতর্ক তো হচ্ছে গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। কিন্তু আমরটাই হতে হবে আর সবটাই ভুল সবটাই খারাপ, আমরাই সবকিছু করেছি। আশা করি যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে ছিলেন আমরা আমাদের মধ্যে বিতর্ক করব, সমালোচনা করব।
বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচন প্রলম্বিত হয়েছে বলে এই অবস্থা। তার পরে সরকার একটি তারিখ দিয়েছেন। সবাই আলাপ-আলোচনা করে আমরা ওটাকেই মেনে নিয়েছি। হ্যাঁ, রোজার পূর্বেই নির্বাচনটা হলে পরে সব দিক থেকে স্বস্তি মিলতে পারে। সবদিকে একটা শান্তি নেমে আসতে পারে। কারণ, একটি জবাবদিহিতামূলক সরকার হবে। এবং সেই সরকারের ন্যায্য বৈধতা থাকবে। কেননা এটি একটি নির্বাচিত সরকার।
অনুষ্ঠানে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ এর পক্ষ থেকে তিনটি দু:স্থ পরিবারের হাতে অটোরিকশা ও আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।
পতাকানিউজ/এমওয়াই/এসজিএন

