পণ্য ছাড় করাতে আমদানিকারকের কাছ থেকে ‘ঘুষ’ নেওয়ার অভিযোগ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন গ্রেপ্তার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার সহযোগী মাইনুদ্দীন। বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম ৪র্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার খাস কামরায় এ জবানবন্দি নেয়া হয়।
দুদক পিপি মোকাররম হোসেন পতাকানিউজকে বলেন, ‘সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় এবং তার সহযোগী মাইনুদ্দীনকে ৩০ হাজার টাকা ঘুষসহ হাতেনাতে আটক করে দুদক। এ ঘটনায় মামলার পর উভয় আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এতে ২ নম্বর আসামি মাইনুদ্দীন বিচারকের খাস কামরায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত উভয় আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পিপি বলেন, ‘রিমান্ড আবেদন নেই। মামলা হয়েছে। এ মামলায় দুদকের একজন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। এরপর মামলা তদন্ত শুরু হবে। এসময় তদন্ত কর্মকর্তা তদন্তের স্বার্থে রিমান্ড চাইতে পারেন।’
এর আগে মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ফাঁদে ঘুষের টাকাসহ আটক হন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় এবং তার সহযোগী মাইনুদ্দীন। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর একটি দল কাস্টমস হাউসে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
দুদক জানায়, হোমল্যান্ড প্লাস্টিক স্যু ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক আমির হোসেন জাপান থেকে আমদানি করা পণ্য ছাড়করণের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কাস্টমসে দাখিল করেন। তবে শুল্কায়ন সেকশন-৭ (বি)-এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় ও ছারওয়ার উদ্দিন ইচ্ছাকৃতভাবে হয়রানি করে নির্ধারিত রেটের বাইরে অতিরিক্ত ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দিলে পণ্য ছাড়করণে বিলম্ব ও নিলামে বিক্রির হুমকি দেন তারা। এমন অনৈতিক আবদারে আমির হোসেন রাজি না হয়ে দুদকে অভিযোগ করেন। কমিশনের জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধির আলোকে ঘুষ দাবিকারী শুল্ক বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তাদের হাতেনাতে গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেয়।
অভিযানকালে দুদকের বিশেষ টিম ছদ্মবেশে ঘুষ লেনদেন পর্যবেক্ষণ করে। একপর্যায়ে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা রাজীব রায় এবং তার সহযোগী মাইনুদ্দীনকে ঘুষের ৩০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে আটক করে।
পতাকানিউজ/আরএস/আরবি

