চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে নওয়াব ফয়জুন্নেছা হলে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ নিয়ে দেখা দিয়েছে সংখ্যার অমিল। নির্বাচন কমিশনের হিসাবে এ হলে ফরম নিয়েছেন ১৪ জন প্রার্থী। কিন্তু প্রার্থীদের দাবি, আসল সংখ্যা ১৮ জন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।
কমিশনের হিসাবে ১৫ সেপ্টেম্বর ৯জন এবং ১৬ সেপ্টেম্বর আরও ৫জন মিলিয়ে মোট ১৪ জন ফরম নিয়েছেন। কিন্তু ‘হৃদ্যতার বন্ধন’ নামের একটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের দাবি, তাদের ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনের ফরম ফয়জুন্নেছা হলে ইস্যু হলেও বাকি ৪ জনের ফরম ভুল করে প্রীতিলতা হলে দেয়া হয়েছে।
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্যানেলের ভিপি প্রার্থী প্রমিতা চাকমা বলেন, ‘আমরা ১৪ জনকে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল করেছি। কিন্তু এর মধ্যে ৪ জনের ফরম অন্য হলে জমা দেয়া হয়েছে। কমিশনকে জানালে তারা বলেন, জমা দেয়ার সময় হলে নাম ঠিক করে লিখলেই সমাধান হবে।’
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাসফিয়া তাবাসসুম বলেন, ‘মঙ্গলবার ১৪ জনের একটি প্যানেল ফরম নিয়েছে। আমি আজ বুধবার নিয়েছি ১৫তম প্রার্থী হিসেবে। অথচ কমিশনের হিসাবে নাকি ১৪ জনই নিয়েছে। বিষয়টা আমার কাছে গরমিল মনে হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, ‘মনোনয়নপত্র ফাঁকা অবস্থায় দেয়া হয়। আমাদের রেজিস্ট্রিতে যে হলে ফরম সংগ্রহ করা হয়েছে, সেটাই চূড়ান্ত হিসেবে ধরা হবে। তবে জমা দেয়ার সময় হলে নাম সংশোধনের সুযোগ আছে।’
পতাকানিউজ/এসজিএন

