জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের মনোনীত প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে। ২৫টি পদের একটিতেও জয় পায়নি প্যানেলটির প্রার্থীরা। এর পেছনে গ্রুপিং, অনিয়ম এবং শাখার শীর্ষ নেতাদের জয়ের প্রতি অনিচ্ছাকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটির বহিষ্কৃত এক নেতা।
রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি জাকসুতে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের পরাজয়ের কারণগুলো সম্পর্কে ব্যক্তিগত অভিমত তুলে ধরেন।
স্ট্যাটাস দেয়া সাবেক ওই ছাত্রদল নেতার নাম আল ইমরান৷ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া জাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, ‘কেন্দ্রীয় সংসদের প্রায় সব পদেই ছাত্রদলের প্রার্থীরা তৃতীয় বা চতুর্থ অবস্থানে থেকে নির্বাচন শেষ করেছেন। শুধুমাত্র স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা মমিনুল ইসলাম দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে পেরেছেন, তবে তা সামগ্রিকভাবে কোনো সান্ত্বনা বয়ে আনেনি।’
তিনি জানান, ‘ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল অন্তত দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করেছিল। কিন্তু জাকসুতে সংগঠিত প্রস্তুতি না নেওয়ায় ভরাডুবি হয়েছে। অপরদিকে শিবিরের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে তেমন পরিচিত না হলেও দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা ও তথ্য সংগ্রহের ফলে জয়ী হতে সক্ষম হয়েছে।’
তাঁর অভিযোগ, ‘সিনিয়র নেতৃত্ব দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান শিক্ষার্থীদের থেকে বিচ্ছিন্ন এবং প্রার্থী নির্বাচনে চলমান ব্যাচগুলোর মতামত গ্রহণ করেননি। এতে ক্যাম্পাসে জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থীরা বাদ পড়েছেন।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্বের একটি অংশ আসলে চাইছিলেন না কেউ নির্বাচিত হোক, যাতে তাদের নিয়ন্ত্রণ দীর্ঘস্থায়ী হয়।’ গ্রুপিং, ভেতরের দ্বন্দ্ব এবং বরাদ্দ ব্যবহারে অনিয়মও ছাত্রদলের ভরাডুবিতে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে তিনি মনে করেন।
স্ট্যাটাসে তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘শিবির ও অন্যান্য সংগঠন কেন ছাত্রদলের তুলনায় খারাপ অপশন-তা ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে পারেনি ছাত্রদল। ফলে তারা ক্যাম্পাসে ইতিবাচক বার্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।’

