পাকিস্তানের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সকালে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনার ইমরান হায়দার জাতীয় সঙ্গীতের সুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বসবাসরত পাকিস্তানি সম্প্রদায়, পাকিস্তানি শিক্ষার্থী, স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। এ উপলক্ষে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিশেষ বাণী পাঠ করা হয়।
বার্তায় জাতীয় নেতৃত্ব স্বাধীনতা দিবসে জাতিকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতির জনক কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, আল্লামা মোহাম্মদ ইকবাল এবং পাকিস্তান আন্দোলনের নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তারা সাম্প্রতিক মারকা-এ-হক ও অপারেশন বুনইয়ান-উম-মারসুস-এ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিজয়ে সশস্ত্র বাহিনী ও শহীদদের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
নেতারা বলেন, এই বিজয় স্বাধীনতার তাৎপর্য বৃদ্ধি করেছে, জাতীয় গৌরব ফিরিয়ে এনেছে, দ্বিজাতি তত্ত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে এবং পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার অঙ্গীকারকে সুদৃঢ় করেছে।
হাইকমিশনার ইমরান হায়দার বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়ে দিনের তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং স্বাধীন স্বদেশের জন্য পূর্বসূরিদের সংগ্রামের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
তিনি মারকা-এ-হক অভিযানের সাফল্যকে একটি বড় কৌশলগত মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই বিজয় জাতীয় ঐক্য ও সশস্ত্র বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় পাকিস্তানের অঙ্গীকারকে পুনঃনিশ্চিত করেছে। তিনি আইআইওজেকে-র ন্যায়সংগত আত্মনিয়ন্ত্রণ সংগ্রামে পাকিস্তানের অবিচল কূটনৈতিক, নৈতিক ও রাজনৈতিক সমর্থনের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
পতাকা নিউজ/এসকে

