‘বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের কিছু হলে বিদেশে চিকিৎসার জন্য ছুটে যান। এর ফলে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা কমেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
অসুস্থ হওয়ার দীর্ঘ ৪৭ দিন পর সুস্থ হয়ে জনপ্রকাশ্যে এসে আজ শুক্রবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর ইব্রাহিমপুরের মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষ, যাদের বিদেশে যাওয়ার সক্ষমতা নেই, তারা দেশের চিকিৎসায় ভরসা রাখেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘সাধারণ মানুষ যেখানে বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারে না, সেখানে আমি কীভাবে বিদেশে যাই?’
তিনি আরো বলেন, দেশের চিকিৎসার প্রতি সব সময় আস্থা ছিল। সেই চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা ফেরাতে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে দেশেই চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ডা. শফিকুর রহমান জানান, তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে ২২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠিত হয়। তারা হৃদযন্ত্রে ব্লক শনাক্ত করেন এবং ঝুঁকি বিবেচনায় তাকে দেশের বাইরে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক কিংবা আমেরিকার মতো দেশের নাম বলেছিলেন। আমি তাদের আন্তরিক পরামর্শের জন্য কৃতজ্ঞ। তবে আমি জিজ্ঞেস করলাম—আল্লাহ কি কেবল সেই দেশগুলোতেই আছেন?
চিকিৎসকরা বললেন, আল্লাহ সর্বত্র আছেন। আমি তখন বললাম, আল্লাহ যদি সেখানে সুস্থ করতে পারেন, তাহলে তিনি চাইলে আমার জন্মভূমি বাংলাদেশেও আমাকে সুস্থ করতে পারেন।
তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, সুস্থতা-অসুস্থতা কার হাতে—এক বাক্যে সবাই স্বীকার করেছেন, আল্লাহর হাতে। তাই আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহই আমাকে আবার জনসম্মুখে দাঁড়ানোর শক্তি দিয়েছেন।
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজনীতিক বন্ধুদের বলব— চিকিৎসা বাংলাদেশেই আছে, সেই চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন না। সোনার বাংলার গল্প শোনাবেন অথচ আপনাদের কিছু হলে বিদেশে দৌড়াবেন। রাজনীতিবিদরা দেশে চিকিৎসা নিলে চিকিৎসা ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো পূরণ হয়ে যেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এছাড়া তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা করমুক্ত গাড়ি কিংবা কমমূল্যে সরকারি প্লট নেবে না।
এ ছাড়াও ভয়হীন, মানবিক, স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য দেশের মানুষকে আগামীর সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানান জামায়াত আমির।
পতাকানিউজ/আইবিএম

