রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলের’ দরবারে হামলা এবং মরদেহ পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাতনামা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। হামলার সময় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়।
শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানার উপপরিদর্শক সেলিম মোল্লা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে জুমার নামাজের পর বিক্ষুব্ধ জনতা দরবারে হামলা চালায়। সংঘর্ষের সময় দরবারে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর এবং কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গেলে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ থেকে ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। দরবারে হামলার সময় মো. রাসেল মোল্লা (২৮) নামে এক যুবক নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হন।
ওসি রাকিবুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দরবারের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নুরাল পাগল স্থানীয়ভাবে আলোচিত এক ব্যক্তি। আশির দশকের শেষের দিকে তিনি নিজেকে ‘ইমাম মাহদী’ দাবি করলে জনরোষের মুখে ১৯৯৩ সালের মার্চে মুচলেকা দিয়ে এলাকা ত্যাগ করেন। পরে আবার ফিরে এসে দরবার চালু করেন। গত ২৩ আগস্ট ঢাকায় বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হলে দরবারে বিশেষ কাঠামো বানিয়ে তাকে দাফন করা হয়। কবরটি কাবা শরীফের আদলে রঙ করলে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এরপর থেকেই এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পতাকানিউজ/এআই

