আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে ও ভোটের হিসাব-নিকাশ কষতে শুরু করেছে। তবে পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে এখনও দিন তারিখ ধার্য না হলেও চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগামী জাতীয় সংসদ, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য তিন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। এ নিয়ে সাধারণ এলাকার সাধারণ মানুষ ও ভোটারদের মনে নানা কৌতূহল তৈরি হয়েছে। ভোটারদের প্রশ্ন, ইসলামী ফ্রন্টের আগাম প্রার্থী ঘোষণা রাজনৈতিক কৌশল নাকি চমক?
পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট পটিয়া উপজেলা শাখা গত ৮ আগস্ট সন্ধ্যায় এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সচিব অ্যাডভোকেট ইসলাম উদ্দিন দুলাল। তিনি এ তিন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। তারা হলেন- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও দলের উপজেলা (পূর্ব) পরিষদের সভাপতি পীরজাদা ছৈয়দ এয়ার মুহাম্মদ পেয়ারু, পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী হোসাইন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে কানাডা প্রবাসী ও সংগঠক মফিজুল ইসলাম বাবলু চৌধুরী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী হোসাইন পতাকানিউজকে বলেন, ‘পটিয়া ইসলামী ফ্রন্টের একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। আগাম প্রার্থী ঘোষণাকে দলের চমক না হলেও, দলের কৌশল বলা যায়।
তিনি আরও বলেন, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাদের দলের প্রার্থী বিপুল ভোটে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তাবিত প্রার্থীর পাশাপাশি পটিয়ায় আগামী পৌরসভা নির্বাচন ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীর নাম ঘোষণার মাধ্যমে দল ও ভোটারদের মাঝে প্রচারণায় এগিয়ে যাওয়ায় মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আমাদের প্রচার-প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার অন্যতম কারণ। এতে একদিকে নির্বাচনী প্রস্ততি চালিয়ে যাওয়া অন্যদিকে দলকে সুসংগঠিত করা যাবে।
২০২৪ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী হয়ে পটিয়া (চট্টগ্রাম-১২) আসনে নির্বাচন করেন দলটির মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন। আওয়ামী লীগের একতরফা সে নির্বাচনে ১ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন দলটির দক্ষিণ জেলা সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। অন্যদিকে ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন ৮,২৯৮ ভোট পেয়ে জামানত হারান।
ইসলামী ফ্রন্ট নেতা এম বেলাল উদ্দিন আলমদারের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মাওলানা সোলাইমান চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মু. জসিম উদ্দিন, অধ্যক্ষ কাজী মাওলানা হাফেজ আহমদ আলকাদেরী, মাওলানা কফিল উদ্দিন, ডাক্তার মু. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, মাস্টার মু. আলী খান, শাহজাদা নেজামুল করিম সুজন, উপজেলা ফ্রন্ট নেতা মাওলানা ইউছুফ জিলানী, আবুল কালাম লিটন, মাওলানা মহিউদ্দিন কাদেরী, ক্বারী মাওলানা আনোয়ার ইসলাম আলকাদেরী, মু. জমির উদ্দিন, হাজী সাবের আহমদ, আব্দুল মোতালেব, যুবনেতা মু. দিদারুল ইসলাম, আরিফুল হক রানা, আয়ুব আলী মিজান, ছাত্রনেতা মু. ওসমান, মু. জুনাইদুল ইসলাম, আবু হানিফসহ পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা শাখার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড প্রতিনিধিরা।
পতাকানিউজ/এসএ/আরবি

