পশ্চিম তুরস্কের ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে ফের কেঁপে উঠল মাটি। স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৫৩ মিনিটে বালিকেসির প্রদেশে আঘাত হানা ৬.১ মাত্রার এই কম্পন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে ইস্তাম্বুলসহ আশপাশের একাধিক প্রদেশে। তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর (আফাদ) নিশ্চিত করেছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১ কিলোমিটার গভীরে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঘিরে দুই প্রতিষ্ঠানের তথ্য মিলেছে কাছাকাছি। আফাদ জানায় গভীরতা ১১ কিলোমিটার, আর জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) বলছে, মাত্রা ছিল ৬.১৯ এবং গভীরতা ১০ কিলোমিটার। এই তীব্রতায় এলাকার স্থাপনা কতটা ঝুঁকির মুখে পড়েছে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বালিকেসিরের সিনদিরগি। স্থানীয় মেয়র সেরকান সাক জানান, শহরের কেন্দ্রে একটি তিনতলা ভবন ধসে পড়েছে। ভেতরে ছয়জন ছিলেন—যাদের মধ্যে চারজনকে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে বাকি দুজন এখনও আটকা, আর তাঁদের উদ্ধারে চলছে তৎপরতা।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানিয়েছেন, আফাদের জরুরি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক যাচাই শুরু করেছে। আপাতত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, তুরস্কের সক্রিয় ভূতাত্ত্বিক ফল্ট লাইনগুলো যে কোনো সময় বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
এই আশঙ্কা অমূলক নয়। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতেই দেশটিতে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ। নতুন এই কম্পন আবারও স্মরণ করিয়ে দিল, বিপদের ঘণ্টা যে এখনও থামেনি।
রয়টার্স-
পতাকানিউজ/এনটি

