পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠার ৬টি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা তিন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ৫ জন। নতুন ৩ মামলায় আসামি শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক (ববি)।
বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এ সাক্ষ্য দেন তারা।
যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অফিস সহকারী দেলোয়ার হোসেন, কর সার্কেল প্রধান সহকারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, কর সার্কেলের কম্পিউটার অপারেটর মো. রেজাউল হক ও কর সার্কেল নোটিশ সার্ভার মো. আবু তাহের।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পলাতক থাকায় সাক্ষীদের জেরা হয়নি। তারা প্রত্যেকেই তিন মামলার প্রত্যেক মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম জানান, সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিচারক রবিউল ইসলাম আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও এস এম রাশেদুল হাসান সাক্ষ্য দেন। এরপর আরও ছয়জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
এর মধ্যে এক মামলায় শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জন, আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তীসহ ১৮ জন এবং অপর মামলায় শেখ হাসিনা ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তবে প্রতিটি মামলাতেই শেখ হাসিনা ও রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। তারা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
গত ৩১ জুলাই একই আদালত এ তিন মামলায় শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ১৬১/১৬৩/১৬৪/৪০৯/১০৯ ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।
অনুসন্ধানের পর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশন দুদক এই মামলাগুলো দায়ের করে। গত ২৫ মার্চ ৬ মামলায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে দুদক। অভিযোগ পত্রে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরাসহ ২৯ জন আসামি। ইতিমধ্যে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ও তার ছেলে-মেয়েসহ অন্যদের বিরুদ্ধে বাকি তিনটি মামলা ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
পতাকানিউজ/এআই

