সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শূন্য থাকা বিপুল সংখ্যক শিক্ষক পদ পূরণের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি মাসের শেষেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে।
মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ১৭ হাজার জনবল নিয়োগের এই প্রক্রিয়া শুরু হবে নিয়োগবিধি সংশোধন শেষ হওয়ার পরই।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, নতুন নিয়োগবিধিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসছে। সবচেয়ে আলোচিত পরিবর্তন হলো নারী কোটা ও পোষ্য কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত। শুধু শিক্ষক পদ নয়, মন্ত্রণালয়ের অধীন অধিদপ্তর, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগবিধিতেও সংস্কার আনা হচ্ছে। যেসব পদে বহু বছর ধরে পদোন্নতির সুযোগ ছিল না, সেসব ক্ষেত্রেও নতুন বিধিমালায় পদোন্নতির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সংশোধিত বিধিমালার খসড়া চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে অনুমোদনের জন্য। মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার দাবি, অনুমোদন পেলেই শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
প্রস্তাবিত নিয়োগে সহকারী শিক্ষক (সংগীত) পদে ২ হাজার ৫৮৩ জন এবং সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) পদে সমান সংখ্যক ২ হাজার ৫৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। বাকিগুলো সাধারণ সহকারী শিক্ষক পদে পূরণ হবে।
শিক্ষা খাতের সংশ্লিষ্টদের মতে, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুধু দীর্ঘদিনের শূন্যপদ পূরণই করবে না, বরং নিয়োগবিধির নতুন কাঠামো ভবিষ্যতের জনবল ব্যবস্থাপনায়ও বড় পরিবর্তন আনতে পারে।
পতাকানিউজ/এনটি

