সুনামগঞ্জের আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের জগন্নাথপুর পৌর শহরের এক কিলোমিটার অংশে মহাসড়কের দু’পাশের ফুটপাত দখল করে চলছে বেচাকেনা। পয়েন্টে পয়েন্টে অবৈধ অটোরিকশা স্টেশন, আবার যত্রতত্র পার্কিং।
ফলে প্রতিনিয়ত পেছনে আটকে থাকে ছোট-বড় গাড়ী। সড়কে সৃষ্ট যানজটে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এসব দেখেও না দেখার ভান করছে দখলদার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিনই শহরের এক কিলোমিটার অংশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে।
এছাড়া সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকসহ রিকশা সড়ক দখল করে রাখে নিজেদের মতো করে। ফলে উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র জগন্নাথপুর বাজারজুড়ে যান চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। ফুটপাত ব্যবহারে পথচারীদেরও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদরের পৌর পয়েন্ট, টিঅ্যান্ডটি, মাদ্রাসা (চিলাউড়া) পয়েন্ট ও পুরোনো মাছের আড়তসহ প্রতিটি পয়েন্টের মূল সড়কে বিভিন্ন ধরনের দোকান বসানো হয়েছে। এর পাশেই সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছে অটোরিকশাগুলো। যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকলেও সড়কে নেই যান চলাচলের জায়গা।
অন্যদিকে ফুটপাতে পা ফেলারও জায়গা নেই। এর মধ্যে আবার অবৈধভাবে দখল নিয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন। সড়ক ও ফুটপাত দখল বাণিজ্যের কারণে পায়ে হেঁটে চলাচল দূরহ হয়ে উঠেছে।
সড়কের একাধিক পথচারী জানান, ‘পৌর এলাকার মহাসড়কের দু’পাশ অবৈধ দখলের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে পড়ে থাকতে হয়। সকাল ৭টা থেকে এই বাজার চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।’
জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ী ওয়ালী উল্লাহ বলেন, ‘এসড়ক দিয়ে আমাদের নিয়মিত মালামাল আনতে হয়। বর্তমানে দু’পাশের ফুটপাত পুরো অংশ বাজারসহ অটো স্টেশন ও ভ্রাম্যমাণ দোকানের দখলে। এসব অবৈধ দখলদারদের কারণে এ পথে হেঁটে চলার কোনো উপায় নেই।’
জগন্নাথপুর গ্রামের পথচারী মৃদুল চৌধুরী বলেন, ‘ফুটপাতের যেটুকু অংশ ফাঁকা আছে, সেটাও লোকজনের চলাচলের জন্য নয়। ওই অংশটা হলো ক্রেতাদের দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করার জন্য। রাস্তার ওপর দোকান, সড়কে দাঁড়িয়ে ইজিবাইক, রিকশা, সিএনজি ও বাসে যাত্রী উঠানামা- সব মিলিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থা। এসব দেখার যেন কেউ নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানি জানান, ‘টাকা দিয়ে তারা ব্যবসা করছেন। প্রতি রোববার ও বুধবার বাজার ইজারাদারদের ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকার দিচ্ছেন তারা। অনেকে যে মার্কেট ও দোকানের সামনের ফুটপাত দখল করেছেন তারা ওই সব মালিকদের প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দিচ্ছেন বলেও জানান তারা।’
জগন্নাথপুর বাজারের ইজারাদার মকবুল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ‘সড়কে আমরা দোকান বসাতে বলিনি। সড়ক থেকে দোকান উঠানোর জন্য তাদেরকে বার বার বলা হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অবহিত করা হয়েছে।’
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরকত উল্লাহ বলেন, ‘দ্রত অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হবে।’
পতাকানিউজ/এডি/এএইচ

