ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। খুলে দেওয়া হয়েছে ব্যারেজের সব জলকপাট। ফলে তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন বেশ কয়েকটি চরের বাসিন্দা।
বুধবার, ১৩ আগস্ট সকাল ৬টায় নীলফামারীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। সকাল ৯টায় পানির প্রবাহ ছিল বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে।
এর আগে গত ৩ আগস্ট একই পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছিল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত থেকে পানির স্তর বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা সতর্ক অবস্থানে আছেন।
এদিকে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের অন্তত ১৫টি চরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এর মধ্যে ঝাড়সিংহেরস্বর ও পূর্ব ছাতনাই গ্রামের বোল্ডারের চর, খোকার চর, খাড়াপাড়া, ফ্লাটপাড়ার বাসিন্দারা পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ব্যারেজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে।
পতাকানিউজ/এআই

