গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নাক বাঁকা হয়ে গেছে, কাজ করছে না মস্তিষ্ক। সে এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। আগামী সপ্তাহে তাকে দেশের বাইরে নেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, চিকিৎসকরা নুরুল হক নুরকে সুস্থ বললেও সে এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়। তার নাক বাঁকা হয়ে গেছে। মুখে খেতে পারছে না। নাক দিয়ে ব্লেডিং হচ্ছে। তিনি একা একা উঠে দাঁড়াতে বা হাঁটতে পারছেন না, মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছেন। তার মস্তিষ্ক ঠিকমত কাজ করছে না। তার ব্রেনে আঘাত করা হয়েছে। ওয়াশরুমে ধরে নিয়ে যেতে হয়। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বাইরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন। আগামী সপ্তাহে দেশের বাইরে পাঠানো হবে।
রাশেদ বলেন, আমরা গতকালও বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যমে সরকারকে বলেছি, যেহেতু জাতীয় পার্টি ফ্যাসিবাদের দোসর এবং তাদেরকে কেন্দ্র করেই তাদের রাজনীতিকে আবারও পুনর্বাসিত করা নিয়ে একটি পরিকল্পনা ছিল, সেই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে নুরুল হক নুরসহ আমরা কথা বলেছি, তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছি। তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ায় নুরুল হক নুরসহ আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর আক্রমণ করে।
এ সময় রাশেদ অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পার্টিকে কেন্দ্র করে সরকারের রাজনৈতিক পুনর্বাসনের পরিকল্পনার বিরোধিতা করায় নুরসহ দলের শতাধিক নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়। হাসপাতালে নুরের ছয় দিন পার হয়েছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের ফুটেজে হামলাকারীরা চিহ্নিত হলেও এখনও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এটি সরকারের জন্য লজ্জাজনক। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনা ছাড়া এ ধরনের হামলার সুযোগ নেই। এরকম নির্লজ্জ বেহায়া ছোটলোক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশে থাকতে পারে না।
পতাকানিউজ/এআই

