আদালতে যাওয়ার পথে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন স্বামী তানভির চৌধুরী (২৬)। এরপর তিনি পালিয়ে চলে যান সিলেটে। সেখান থেকে শনিবার সন্ধ্যায় জৈন্তাপুর উপজেলার চৈলাখেল নিজপাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯। পরদিন রবিবার র্যাব হেফাজতে থাকা অবস্থায় তানভির গলায় কম্বল পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। সোমবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তানভীর গাজীপুরের কাশিমপুর উপজেলার সারদাগঞ্জ গ্রামের বাবুল চৌধুরীর ছেলে ও নওগাঁ সদর উপজেলার শালুকা সরকারপাড়ার জ্যোতির স্বামী।
র্যাব-৯-এর মিডিয়া অফিসার কে এম শহিদুল ইসলাম সোহাগ (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) জানান, তানভীরকে স্ত্রী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারে পর হেফাজতে রাখা হয়েছিল। রবিবার সকালের তিনি আত্মহত্যা করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, তাকে দেওয়া কম্বল পেঁচিয়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তানভীর। এদিন নিহতের স্বজন, পুলিশ, চিকিৎসক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা মরদেহ নিয়ে যায়।
র্যাব জানায়, নওগাঁ সদর থানার শালুকা সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোছা. জুথির সঙ্গে তানভিরের বিবাহ পরবর্তী একটি মামলা চলছিল আদালতে। গত ১১ সেপ্টেম্বর সকালে জুথি তার মাকে নিয়ে মামলার হাজিরা দিতে আদালতে যাচ্ছিলেন। পথে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভবানীপুর কাঠালতলী মোড়ে মেইন রাস্তার মুখে তানভির কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে আক্রমণ করেন। এসময় জুথিকে ছুরিকাঘাত করে প্রাইভেট কারে তারা পালিয়ে যায়। ছুরিকাঘাতে জুথির মৃত্যুর ঘটনায় মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পর সিলেটে পালিয়ে যান তানভীর। র্যাব-৫ এর সহায়তায় র্যাব-৯ তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু নওগাঁ থানার হস্তান্তরের আগেই আত্মহত্যা করেন তানভীর।
পতাকানিউজ/ইউএম/আরবি

