চট্টগ্রাম বন্দর ঘুরে গিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এককালীন এফডিআই (সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ) হতে যাচ্ছে লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে, যার পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। সোমবার, ১১ আগস্ট নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে তিনি রবিবার চট্টগ্রাম বন্দর সফর বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
বিডা চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী লেখেন, `গতকাল চট্টগ্রাম বন্দর ভিজিট করলাম তিন মাস পর। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে আমার আগ্রহের মূল কারণ হচ্ছে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বন্দর সক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। প্রত্যেকটি ইনভেস্টরের প্রথম পাঁচটা প্রশ্নের মধ্যে একটা হয় আমাদের পোর্টগুলোকে নিয়ে। যেহেতু দেশের ট্রেড এর শতকরা ৯০ ভাগ হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে, সেহেতু আমাদের দেশে বিনিয়োগ আকর্ষণীয় করে তুলতে হলে এই বন্দরকে হতে হবে বেস্ট ইন ক্লাস।
বিডা চেয়ারম্যান জানান, বন্দরগুলো নিজেরাই বিনিয়োগের একেকটা হটস্পট। যেমন, আমাদের লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনালে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিদেশি বিনিয়োগ হবার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এককালীন এফডিআই’র মধ্যে একটি।
বন্দরের কার্যক্রমে অগ্রগতি জানিয়ে নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করে বিডা চেয়ারম্যান বলেন, দারুন লাগলো দেখে যে আমাদের আগের সব রেকর্ড ব্রেক করে আমরা গত এক মাসে আগের মাসের তুলনায় প্রায় ৩০% বেশি কনটেইনার হ্যান্ডেল করছি। আর জাহাজ ক্লিয়ার করছি প্রায় ৮ ঘণ্টা কম সময়ের মধ্যে। চট্টগ্রাম ড্রাই ডক লিমিটেড দায়িত্ব নেবার পর থেকেই এই পারফরমেন্স। তাদেরকে অভিনন্দন। তার পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষ আরটিজিএস, অটোমেটেড টিকেটিং ও গেট, অনলাইন এজেন্ট ডেস্ক, ইত্যাদি চালু করেছে। এতে একই সাথে কাজের গতি বাড়ছে আর কমছে দুর্নীতির সম্ভাবনা।
তিন মাস আগে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, গতবার আমাকে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল বন্দর তো ভালই চলছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় বেশি কনটেইনার হ্যান্ডেল করছে। তাহলে কেনো আমরা শুধু শুধু নতুন অপারেটর খুঁজছি। এই প্রশ্নের উত্তর গত এক মাসের ডাটাই দিচ্ছে। আমরা আসলে এই বন্দরের সর্বোচ্চ পোটেনশিয়ালটাই জানি না। সেটা জানতে হলে বন্দরকে টেকনোলজি, ইনভেস্টমেন্ট এবং ম্যানেজমেন্ট এই সব দিক থেকে সেরাটা বেছে দিতে হবে।
বিডা থেকে এই প্রসেস এর জটগুলো খুলে দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, প্রতি সপ্তাহে আন্ত মন্ত্রণালয় মিটিং হচ্ছে। আশা করছি এই বছর শেষ হবার আগেই আমরা সবগুলো বন্দরের অপারেটর সিলেকশন যথাযথ পদ্ধতি মেনে সম্পন্ন করতে পারব।
পতাকানিউজ/কেএস
