লালমনিরহাট শহরের বসতবাড়ির আঙিনায় দৃষ্টিনন্দন বাগানবিলাস ফুলে ছেয়ে গেছে চারপাশ। গোশালা রোড ও ফায়ার সার্ভিস রোডের বাড়িগুলোতে বর্তমানে এই ফুলের বাহারি রূপ চোখে পড়ে। টিনের ছাউনির মাঝখানে কিংবা বাড়ির সামনের বাগানে ফুটে থাকা লাল, সাদা, হলুদ ও গোলাপি রঙের ফুলগুলো যেন দূর থেকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে দর্শনার্থীদের।
কাগজের মতো পাতলা পাপড়ির কারণে অনেকেই একে ‘কাগজ ফুল’ নামে ডাকেন। তবে প্রকৃতিবিদরা একে অর্নামেন্টাল প্ল্যান্ট বা শোভাবর্ধক উদ্ভিদ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বাগানবিলাস সারা বছর ফুটলেও গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎকালে বেশি ফুটে। গাছে ফুল ফোটার সময় এত ঘনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে পাতার অস্তিত্ব প্রায় চোখে পড়ে না।
ফুলটির সৌন্দর্য থাকলেও কোনো সুগন্ধ নেই। দ্রুত বর্ধনশীল এই গাছ উচ্চতায় ৩০–৩৫ ফুট পর্যন্ত হয়। তাই অনেকেই বাড়ির বারান্দা, বাগান কিংবা অতিথিশালায় এর চারা রোপণ করেন।
পথচারী মোছাম্মত আইরিন বেগম বলেন, রঙিন ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে বাড়ি, দেখতে খুব ভালো লাগে। সবুজ গাছ আর গোলাপি ফুলে পুরো বাড়ির রূপ বদলে গেছে। রাস্তার সৌন্দর্যও বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নাইক্টেগিনাসিয়া গোত্রভুক্ত এই ফুলের বিশ্বজুড়ে নানা প্রজাতি রয়েছে। বাংলাদেশে লাল, গোলাপি, হলুদ ও সাদা রঙের ফুলই বেশি দেখা যায়। সৌন্দর্য ও কীটপতঙ্গ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে বাগানবিলাস দিন দিন মানুষের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে।
পতাকানিউজ/এআই

