একই মৌসুমে আবারো ব্রিটিশ ট্রান্সফার রেকর্ড ভেঙেছে লিভারপুল। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সুইডিশ স্ট্রাইকার অ্যালেক্সান্ডার ইসাককে ১২৫ মিলিয়ন ইউরোতে সই করেছে তারা। এই ট্রান্সফারটি ফ্লোরিয়ান উইর্টজ এর পরে লিভারপুলের ২০২৫ গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোর সবচেয়ে বড় হাইলাইট। ক্লাবটি এই মৌসুমের ট্রান্সফার উইন্ডোতে মোট ৪৪৬ মিলিয়ন ইউরো খরচ করেছে, যা লিভারপুলের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ব্যয়।
ইসাক ছয় বছরের চুক্তিতে অ্যানফিল্ডে যোগ দিয়েছেন। প্রেস ব্রিফিংয়ে ‘লিভারপুলে ইতিহাস’ গড়তে চান বলে জানান তিনি। ইসাকের ট্রান্সফার নিউক্যাসলের জন্য একটি বড় ধাক্কা ছিল। মাত্র ৩৭-শব্দের একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়ে তার বিদায় নিশ্চিত করেছে ক্লাবটি। নিউক্যাসলের ভক্তরা হতাশ। দলটির আক্রমণ ভাগের প্রধান অংশ ছিলেন ইসাক।
ডিলটি প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড ভেঙেছে, যা এর আগে ১১৬ মিলিয়ন পাউন্ড ছিল ফ্লোরিয়ান উইর্টজের জন্য। সেটাও লিভারপুলেরই গড়া। ইসাক ২০২২ সালের আগস্টে নিউক্যাসলে যোগ দেয়ার পর থেকে ৯৬ ম্যাচে মোট ৫৬ গোল করেছেন। ইসাক উইর্টজ সালাহ ত্রয়ী লিভারপুলের আক্রমণকে নতুন মাত্রা দেবে।
এই ট্রান্সফার উইন্ডো ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ছিল। ইসাক ছাড়া অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সাইনিং গুলো হলো: ফ্লোরিয়ান উইর্টজ (১১৬ মিলিয়ন, বায়ার লেভারকুসেন থেকে), হুগো একিতিকে (৯৫ মিলিয়ন), মিলোস কেরকেজ (৪৭ মিলিয়ন), জেরেমি ফ্রিমপং (৪০ মিলিয়ন), জিওভান্নি লিওনি (৩১ মিলিয়ন), আরমিন পেকসি (১.৮ মিলিয়ন), এবং ফ্রেডি উডম্যান (ফ্রি ট্রান্সফার)। ক্লাব ছেড়েছেন ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার-আর্নল্ড এবং ডারউইন নুনেজ। এই উইন্ডোতে প্রিমিয়ার লিগের মোট খরচ ৩ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
লিভারপুলের কোচ আরনে স্লট বলেন, ‘এই সইগুলো আমাদের শিরোপা জয়ের স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করবে।’
ট্রান্সফারগুলো লিভারপুলকে প্রিমিয়ার লিগ এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফেভারিট করে তুলেছে। কিন্তু তারকায় ভরা এই দলকে সামাল দিতে স্লটকে বেশ বেগ পেতে হবে বলে মনে করছেন ফুটবল বিশারদরা। ইসাক লিভারপুলের আক্রমণকে আদৌ শক্তিশালী করবে কিনা এবং এটি ২০২৫-২৬ মৌসুমের সাফল্যের চাবিকাঠি হতে পারবে কিনা এটাই এখন দেখার বিষয়।
পতাকানিউজ/এনআর

