বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত কুকুর প্রতিযোগিতায় এবছর একজন নতুন বিজয়ী পাওয়া গেছে। তার নাম পিটুনিয়া। বয়স দুই বছর। এটি একটি লোমহীন ইংরেজি-ফরাসি বুলডগের শঙ্কর। ওরেগনের ইউজিনের এই কুকুরছানাটি এবং তার মালিক শ্যানন নাইম্যান গত সপ্তাহে ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা রোজার সোনোমা কাউন্টি মেলায় পাঁচ হাজার ইউএস ডলার পুরস্কার জিতেছে।
লিটল পিটুনিয়া ১০ জন প্রতিযোগীকে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছে, যার মধ্যে ৮ বছর বয়সী চাইনিজ ক্রেস্টেড লিটল প্রিন্স ওয়ান্ডার এবং ১৩ বছর বয়সী চিহুয়াহুয়া নেজুমি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, লাস ভেগাসের এক বাড়ির উঠোনের প্রজননকারী এবং মজুদদারের হাত থেকে পিটুনিয়াকে উদ্ধার করে লাভেবল ডগ রেসকিউ কর্তৃক ওরেগনে আনা হয়েছিলো। দুর্ভাগ্যবশত, তার মূল প্রজননের অনৈতিক অভ্যাসের কারণে তার শরীরে কোনো লোম নেই।
কুকুরটির মালিক শ্যানন নাইম্যান বলেন, ‘আমি মনে করি সে দারুণ অনুভব করছে। সে সমস্ত মনোযোগ ও আগ্রগের কেন্দ্রবিন্দু, সমস্ত স্নেহ দিয়ে মানুষ তাকে আদর করে।’
প্রতিযোগিতায় জয়লাভের পর পিটুনিয়া এখন প্রতিযোগিতার স্পন্সর মগ রুট বিয়ারের সীমিত সংস্করণের ক্যানে উপস্থিত হবে। তাকে ‘অন্যান্য কুকুর, বিড়াল এবং মানুষকে ভালোবাসে এমন একজন ভদ্রলোক” হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
গত বছর, ওয়াইল্ড থাং নামে এক বুড়ো পেকিংজ প্রতিযোগিতা জিতেছিল, যে এর আগেও প্রতিযোগিতার পাঁচটি সংস্করণে অংশগ্রহণ করেছিলো। প্রতিযোগিতায় রানার-আপ ছিল রোম নামে একটি ১৪ বছর বয়সী পাগ। তৃতীয় স্থানে ছিল ডেইজি মে নামে একটি সাদা আবরণযুক্ত মিশ্র জাতের ১৪ বছর বয়সী কুকুর, যাকে দুই বছর বয়সে রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এবং তার দাঁত, চুল এবং দৃষ্টিশক্তি ছিল না।
বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত কুকুর প্রতিযোগিতা প্রায় ৫০ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওয়েবসাইট অনুসারে, এটি ‘সমস্ত কুকুরকে বিশেষ করে তোলে’। প্রতিযোগিতাটি সমস্ত প্রাণীর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের গুরুত্ব এবং দত্তক নেওয়ার সুবিধাগুলোও তুলে ধরে।
ওয়েবসাইট অনুসারে, এই অনুষ্ঠানের ধারণাটি ১৯৭১ সালে পেটালুমার বাসিন্দা রস স্মিথের কাছ থেকে এসেছিলো। এবং সোনোমা-মেরিন মেলা ১৯৮৮ সাল থেকে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আসছে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী অনেক কুকুরকে আশ্রয়কেন্দ্র এবং পথ থেকে উদ্ধার করা হয়, যা এই অনুষ্ঠানটিকে তাদের জন্য একটি দারুণ পুনর্বাসন হিসেবেও দেখা হয়।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট-
পতাকানিউজ/আইবিএম

