শিক্ষক দম্পতিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার প্রতিবাদে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইরতিজা হাসানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।
বুধবার, ১৩ আগস্ট সকালে এ কর্মসূচিতে অংশ নেয় দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা জানান, পটুয়াখালীর দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) এহসানুল হক বাসায় পানি নিষ্কাশনের জন্য অফিসার্স ক্লাব এবং বাসার মাঝখানে একটি পাইপ দেন। ওই পাইপ দেয়ায় ক্ষুব্ধ হন ইউএনও। মঙ্গলবার বিকেলে শিক্ষক এহসানুল হককে ইউএনওর কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে বের করে দেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষ। একইদিন রাত দুইটায় ওই শিক্ষককে এবং তার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ইউএনও’র পক্ষে ভিডিও সাক্ষাৎকার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন ইউএনও।
এ ঘটনার পর স্কুল শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় আন্দোলনকারীরা ইউএনওকে দ্রুত শিক্ষকের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা এবং তাকে অপসারণের দাবি জানান।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, ইউএনও ইরজিতা অন্য দুই শিক্ষককেও নিজ কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে একইভাবে অপমান করার হুমকি দেন। এছাড়াও ইউএনও ইরজিতার নানা অনিয়ম দুর্নীতি রয়েছে।
ইউএনওকে অপসারণ না করা হলে বাসভবন ঘেরাওসহ নানা কর্মসূচি দেয়া হবে বলে জানান আন্দোলনকারীরা। এ বিষয়ে জানতে ইউএনও ইরজিতা হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মাদ আরেফীন পতাকানিউজকে বলেন, ‘আমি একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অধিকার কারো নেই। এ ঘটনায় একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
পতাকানিউজ/এএইচএস/আরবি

