খেতের জমির মালিকানা নিয়ে পূর্ব দ্বন্দ্ব ছিল। এ দ্বন্দ্ব উসকে দেয় তুচ্ছ একটি ঘটনা। বিরোধপূর্ণ জমিতে শিশুর মলত্যাগ করায় ক্ষিপ্ত লোকজন বাড়িতে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে শিশুর বাবাকে। আহত হয়েছেন স্ত্রীসহ শিশুও।
তুচ্ছকাণ্ডে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের হারাতৈল গ্রামে। নিহত ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম (৫০)। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর।

এ ঘটনায় কানাইঘাট থানায় মঙ্গলবার রাতে মামলা হলে পুলিশ বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে প্রধান আসামি ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে নুরুল ইসলাম ও তার চাচাতো ভাই বাবুল আহমদের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে নুরুল ইসলামের এক শিশু সন্তান বাবুলের জমিতে মলত্যাগ করলে তুচ্ছ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বাবুল আহমদ, তার ছেলে মুমিন আহমদসহ পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নুরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে নুরুল ইসলাম, তার স্ত্রী রিনা বেগম ও তাদের পাঁচ সন্তান আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, ‘এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোররাতে প্রধান আসামি বাবুল আহমদ ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ওসি জানান, ‘ঘটনার পরপরই বাবুল কানাইঘাট থেকে পাশের একটি উপজেলায় আত্মগোপন করেছিলেন। এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোররাতে প্রধান আসামি বাবুল আহমদ ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এ রকম তুচ্ছ ঘটনায় হামলা-হত্যায় মানুষ হতবাক বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘নুরুল ইসলাম হতদরিদ্র একজন শ্রমিক। তার নয় সন্তান রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি।’

