সাভারের আশুলিয়ার হত্যাযজ্ঞের ঘটনা সম্পর্কিত মামলায় মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে তার জবানবন্দি দিচ্ছেন।
মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্য গ্রহণ করছেন ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের প্যানেল, যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার। আগামীকাল (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সাক্ষ্য দেবেন। এই দুইজনকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে ডাকা হয়েছে।
মামলায় প্রধান অভিযুক্তরা হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, মামলায় যথেষ্ট তথ্য ও প্রমাণ রয়েছে, যা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে কোনো আদালতে যথাযথভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।
এর আগে, মামলার ১৪তম দিনে ৬ জন সাক্ষীর বক্তব্য নেওয়া হয়েছিল। এখন পর্যন্ত মোট ৪৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব সাক্ষীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা। অনেক সাক্ষী অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
সাক্ষী হিসেবে ইতোমধ্যে সাবেক আইজিপি চৌধুর্লাহ আল মামুন ও তার বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র গঠিত হয়েছিল ১০ জুলাই, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ হাজার ৭০০ পৃষ্ঠা। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে তথ্যসূত্র, প্রমাণাদি এবং শহীদদের তালিকা। মামলায় মোট ৮১ জন সাক্ষী রয়েছেন। ১২ মে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল।
ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্যগ্রহণের এই পর্যায় পরিস্থিতির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সাক্ষীদের বর্ণনায় উঠে আসা তথ্য দেশের বিচার প্রক্রিয়ায় সত্যিকার ইতিহাসের আলোকপাত করবে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পথ সুগম করবে।
পতাকানিউজ/এনটি

