পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৩০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা পৃথক ৩ মামলায় আরও ৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫–এ চতুর্থ দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।
আদালতে সাক্ষ্য দেন— সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার রিয়াদ মাহমুদ, প্রধান উপদেষ্টা কার্যলয়ের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওসমান গনি, ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রেজিস্ট্রার মিঠুন চন্দ্র বালা ও নাহিদ হোসেন।
সাক্ষ্য শেষে বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের বিশেষ পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম।
এর আগে এ মামলায় ১১ আগস্ট ৩ জন, ২৬ আগস্ট ৭ জন এবং ২ সেপ্টেম্বর ৫ জন সাক্ষ্য দেন।
তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ৪৭ জনকে। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের কূটনৈতিক জোনে শেখ হাসিনা ও পরিবারের সদস্যদের নামে ছয়টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা ও তার সন্তানদের নামে প্লট বরাদ্দ হয়।
২০২২ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বরের মধ্যে এসব বরাদ্দপত্র ও রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়।
গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছয়টি মামলা দায়ের করে। পরে ২৫ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। ইতিমধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হয়েছে।
পতাকানিউজ/এআই

