সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের জন্য বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি যৌক্তিক বেতন কাঠামো নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রোববার রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা যমুনায় জাতীয় বেতন কমিশনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বৈঠকে কর্মকর্তাদের জন্য স্বাস্থ্যবীমার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বেতন বাড়ালেও অনেক সময় এক অসুখেই অনেকে সর্বস্ব হারান। ইন্সুরেন্স থাকলে পরিবার নিশ্চিন্তে থাকতে পারে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এ ধরনের মডেল চালু আছে।
বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান বৈঠকে জানান, নির্ধারিত ছয় মাসের আগেই নতুন বেতন কাঠামোর খসড়া চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, গত এক দশকে মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি বেড়েছে, কিন্তু সে অনুপাতে বেতন বাড়েনি। আমরা সময়োপযোগী বেতন কাঠামো নির্ধারণে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, কমিশন বিশেষায়িত চাকরির জন্য আলাদা বেতন কাঠামো, আয়কর বিবেচনায় বেতন, বাড়িভাড়া–চিকিৎসা–যাতায়াত ভাতা নিরূপণ, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতন সমন্বয়ের পদ্ধতি, সময়োপযোগী পেনশন ও অবসরসুবিধা প্রণয়ন, টেলিফোন–গাড়ি–মোবাইল সুবিধা যৌক্তিকীকরণ এবং বেতনের গ্রেড ও ইনক্রিমেন্টে অসংগতিগুলো দূরীকরণে কাজ করছে।
জাকির আহমেদ খান বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই পুরোদমে কাজ শুরু করেছি। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের আগেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারব।
পতাকানিউজ/এআই

