জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১৫ হাজার ৪৯৪টি আয়কর রিটার্ন ফাইল নিরীক্ষা শুরু করেছে। সংস্থাটি বলছে, দৈবচয়নের ভিত্তিতে বাছাই করা এসব ফাইলে তথ্য গোপনের প্রমাণ মিললে করদাতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার, ১৩ আগস্ট ইনকাম ট্যাক্স অল অডিট লিস্ট (অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার ২০২৩-২৪) প্রকাশ করেছে এনবিআর। তালিকায় প্রতিটি করদাতার ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) উল্লেখ রয়েছে।
কোন অঞ্চলের কত ফাইল
নিরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া ফাইলগুলোর মধ্যে বরিশাল কর অঞ্চলের ৫১৪টি, বগুড়ার ৫৫৪টি, কুমিল্লার ৮৬৪টি, চট্টগ্রামের তিন কর অঞ্চলের ২ হাজার ৬০৪টি, কেন্দ্রীয় সার্কেলের ৬৩টি, ঢাকার ২৫ কর অঞ্চলের ৭ হাজার ৩৫৩টি, গাজীপুরের ৬১৮টি, খুলনার ৮৫১টি, বৃহৎ করদাতার ইউনিটের ৫টি, ময়মনসিংহের ৬০১টি, নারায়ণগঞ্জের ৪৪২টি, রাজশাহীর ৭১১টি, রংপুরের ৬১৬টি এবং সিলেটের ৫৬২টি ফাইল রয়েছে।
‘শূন্য রিটার্ন’ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘শূন্য রিটার্নে পাঁচ বছরের জেল হতে পারে’—এমন একটি খবর ছড়িয়ে পড়ে। এনবিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করদাতার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় না দেখিয়ে কোনো একটি বা সব তথ্য শূন্য দেখানো বেআইনি। এটি ফৌজদারি অপরাধ, যার জন্য আয়কর আইনের ৩১২ ও ৩১৩ ধারায় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
তবে এনবিআরের চেয়ারম্যান আ. রহমান বলেন, এটি আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য নয়, করদাতাদের সচেতন করতেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রতি বছর নির্দিষ্ট সংখ্যক রিটার্ন ফাইল বাছাই করে নিরীক্ষা করা হয়। এবার পুরো প্রক্রিয়াটি দৈবচয়নের মাধ্যমে করা হয়েছে, যাতে কোনো বিশেষ ব্যক্তির ফাইল বারবার নিরীক্ষার অভিযোগ না ওঠে।
কর ফাঁকি রোধে উদ্যোগ
এনবিআরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ১ কোটি ২৩ লাখ টিআইএনধারী রয়েছেন। এর মধ্যে ৪০ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দেন। তবে ৭০ শতাংশ করদাতার আয় করযোগ্য সীমার নিচে। কর ফাঁকি রোধ ও রিটার্নের সঠিকতা যাচাই করতেই এই নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
রাজস্ব বোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আল আমিন শেখ বলেন, এটি রুটিন ওয়ার্ক। প্রতি বছরই অডিট হয়। তবে এবার সম্পূর্ণ দৈবচয়নের ভিত্তিতে ফাইল বেছে নেওয়া হয়েছে।
পতাকানিউজ/এআই

