নোয়াখালীর হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের হামলায় এমভি আবুল কালাম নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসে থেকে অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন ট্রলারে থাকা ১৮ জেলে। পরে অন্য একটি ট্রলারের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার চরইশ্বর বাংলাবাজার ঘাটে উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিয়ে আসা হয়। তারা সবাই হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে রবিবার বিকেলে নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণে জেলেরা হামলার শিকার হন।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা জানান, শুক্রবার সকালে ট্রলারটি মাছ ধরতে সাগরে যায়। হঠাৎ জলদস্যুরা তাদের ধাওয়া করে। ট্রলারটি দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় জলদস্যুরা। এতে ট্রলারটি উল্টে গিয়ে ডুবে যায়। পরে তারা ট্রলারের ভগ্নাংশ ধরে প্রাণ বাঁচাতে ভেসে থাকেন।
ট্রলারের মালিক আবুল কালাম কালু মাঝি বলেন, জলদস্যুরা আমাদের ট্রলার ডুবিয়ে দিলে অল্প কিছু অংশ ভেসে ছিল। সেটি ধরে আমরা ২৪ ঘণ্টা সাগরে ভেসেছিলাম। পরে অন্য উপজেলার দুটি ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। কোটি টাকার সম্পদ চোখের সামনে হারাতে হলো।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী লুৎফুল্লাহিল নিশান বলেন, নদী ও সাগরে আবারও জলদস্যুদের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। এতে জেলে ও ট্রলার মালিকরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। উপার্জন বন্ধ হয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনেকে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।
তিনি জলদস্যুদের তাণ্ডব বন্ধে কোস্টগার্ডকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
হাতিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আশিকুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে ঘটনাস্থল নিঝুমদ্বীপ থেকে অনেক দূরে হওয়ায় আমাদের কিছু করার সুযোগ ছিল না। এছাড়া আমাদের কাছে ভারী নৌযান না থাকায় গভীর সমুদ্রে অভিযান চালানো সম্ভব হয় না।
হাতিয়া থানার ওসি একেএম আজমল হুদা বলেন, বঙ্গোপসাগরে কয়েকটি ট্রলার ডাকাতির খবর পেয়েছি। জেলেরা অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিই। তবে এসব বন্ধে সম্মিলিতভাবে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া জরুরি।
পতাকানিউজ/এইচএএ/এসজিএন

