৩টি রাজনৈতিক মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম ২য় মহানগর দায়রা জজ আব্দুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডা. শাহাদাত হোসেনের আইনজীবী আহমেদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী সাজ্জাদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সচিবালয় আইন শাখার নির্দেশিত মামলা সমুহ অনুযায়ী প্রতিবেদন গ্রহণ করে ডা. শাহাদাত হোসেনকে অব্যহতি দেন। এতে ৩টি মামলা থেকে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে অব্যহতি দিয়েছেন আদালত।’
এসময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাদাত বলেন, ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার মাধ্যমে আমাকে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমত, আদালতের ন্যায়বিচার এবং আপনাদের দোয়া-ভালোবাসার কারণে আজ অব্যহতি পেলাম।
সত্যকে কখনোই চাপা দেয়া যায় না। আমি জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আজীবন অবিচল থাকবো। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বিএনপি আবারো জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে সংসদে যাবে।’
আইনজীবী জায়েদ বিন রশিদ জানান, ‘২০২১ সালে ২৯ মার্চ ডা. লুসি খান বাদী হয়ে মেয়র শাহাদাতসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা করেন। এ মামলায় ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (উত্তর) পুলিশ পরিদর্শক রিপন কুমার দাস ৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ওই মামলায় আজ মঙ্গলবার চার্জগঠন শুনানির দিন ধার্য্য ছিল। তবে আদালত এ মামলা থেকে মেয়রকে অব্যহতি দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া ২০১৮ সালের ২১ অক্টোবর কোতোয়ালী থানার বক্সিরবিট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নুরুজ্জামান বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২টি মামলা করেন। পৃথক মামলায় অভিযোগ আনা হয়, বেআইনী দলবদ্ধভাবে লাঠিসোটা, বিস্ফোরক দ্রব্য ইটপাটকেল নিয়া দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করা।
সড়কে যানবাহন চলাচলে বাঁধা প্রদান ও ককটেল বিস্ফোরণ করে জনগণের মধ্যে আতংক ও ভয়ভীতি সঞ্চার করা। এবং বিনা উস্কানিতে কর্তব্যরত পুলিশের সরকারি কর্তব্য পালনে বাধাদান, অন্তর্ঘাতমূলক কাজ করার অপরাধ। এসময় লাল রংয়ের কচটেপ লাগানো বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ ও বিভিন্ন সাইজের ৮টি কাঠের লাঠি উদ্ধারের কথা উল্লেখ করেন।
মামলা পরিচালনা করেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, সাবেক সভাপতি আইনজীবী এনামুল হক, আইনজীবী মফিজুল হক ভূইয়া, আইনজীবী তারিক আহমেদ সহ আরো অনেকে।
পতাকানিউজ/আরএস/এএইচ

