গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগামীকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দেশের সাতটি জেলা ও দুই মেট্রোপলিটন এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা থাকতে পারে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায় এবং পুলিশ সদর দপ্তরে (পিআর) গোয়েন্দা প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বুধবার পুলিশ সদর দপ্তরে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাত জেলার পুলিশ সুপার (এসপি), সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং রেঞ্জ ডিআইজিদের যুক্ত করা হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার সরাসরি অংশ না নিলেও তার পক্ষে একজন অতিরিক্ত কমিশনার সভায় যোগ দেন।
গোয়েন্দা তথ্যমতে, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, লালমনিরহাট ও চট্টগ্রাম জেলা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইজিপি সংশ্লিষ্ট এসপি ও কমিশনারদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ করে শিক্ষক আন্দোলন ও অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়ে বিশেষ নজরদারির কথা বলা হয়েছে।
সভায় আইজিপি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় লুট হওয়া ৫ হাজার ৭৫৩টি অস্ত্রের মধ্যে এখনও ১ হাজার ৩৬৩টি উদ্ধার হয়নি। এছাড়া, ৬ লাখ ৫১ হাজার ৮৩২ রাউন্ড গোলাবারুদ লুট হলেও ২ লাখ ৫৭ হাজার ৭২০ রাউন্ড এখনও খোঁজে মেলেনি। এসব দ্রুত উদ্ধারের জন্য বিশেষ অভিযান চলছে।
এক ডিআইজি জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গোপালগঞ্জসহ বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলা, চট্টগ্রাম ও লালমনিরহাটে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
সভায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। দালাল বা প্রতারকদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হবে বলেও জানানো হয়।
এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকাগুলোতে পুলিশের বিশেষ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পতাকানিউজ/এনটি

